সোমবার, ০৯ Jun ২০২৫, ০৬:৩০ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোটার : আশুলিয়া শিরু মার্কেট এলাকায় বাগে জান্নাত মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আজিজুর রহমানকে মাদ্রাসা থেকে লাঞ্ছিত করে বের করে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শিরু মাকেট এলাকার বাগে জান্নাত এবতেদায়ী ও দাখিল মাদ্রাসার অফিস কক্ষে গত ২৯ ডিসেম্বর বিকেলে এ লাঞ্চনার শিকার হন মাওলানা আজিজুল হক।
মাওলানা আজিুল হক জানান, ভাদাইল এলাকার সালাম ভূঁইয়ার জায়গায় টিনসেট বাড়ীতে ২০১১ সালে মাদ্রাসাটি ভাড়া নিয়ে চালু করেন। ওই সময় রুম কম থাকায় ভাড়া ছিল ৯ হাজার টাকা। কোন এ্যাডভাঞ্চ ছিল না।
পরে ছাত্র সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্লাস রুম বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে মাদ্রাসার ভাড়া ৩০ হাজার টাকা। ডিসেম্ব^র মাসে মাদ্রাসার ভবনের মালিক সালাম ভূঁইয়া মাদ্রাসার এ্যাডভাঞ্চ হিসেবে ২ লাখ টাকা দাবি করেন। এ্যাডভাঞ্চের টাকা না দিলে মাদ্রাসা বন্ধ থাকবে বলে জানান। পরে নিরুপায় হয়ে ২৯ ডিসেম্বর মাদ্রাসার জন্য এ্যাডভাঞ্চ হিসেবে ২ লাখ টাকা এলাকার মাদবর শামসুল ইসলাম পাটোয়ারীর সামনে পরিশোধ করেন। এ্যাডভান্সের টাকা পেয়ে জমির মালিক ওই দিন রাতেই মাদ্রাসা থেকে প্রিন্সিপাল ও প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা আব্দুল আজিজকে লাঞ্ছিত করে তাড়িয়ে দেন। সন্ত্রাসীদের ভয়ে কয়েকদিন পালিয়ে থেকে এলাকার মাদবরদের জানান। এলাকার মাদবররা তাকে অন্য কোথাও গিয়ে মাদ্রাসা পুনরায় চালানোর পরামর্শ দেন।
এলাকার মাদবরদের কথা মোতাবেক একই এলাকায় একটি স্কুল করোনার জন্য বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সেখানে একই নামে মাদ্রাসাটি চালু করেন। এতে পূর্বের ছাত্ররা ওই মাদ্রাসায় এসে ভর্তি হয়।
এ সংবাদ জমির মালিক আব্দুস সালামের কাছে পৌঁছলে সে আশুলিয়া থানায় মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল আব্দুল আজিজের বিরুদ্ধে মাদ্রাসা ভাংচুর ও বিভিন্ন মালামাল চুরির অভিযোগ দিয়েছে।
মাদ্রাসাটির অভিভাবক, ছাত্র ও শিক্ষকরা জানান, মাদ্রাসার জমির মালিক আব্দুস সালাম মাদ্রাসাটির এ্যাডভাঞ্চের টাকা নিয়ে তার পরে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতাকে লাঞ্ছিত করা একটি অন্যায়। এমন ঘৃণিত কাজের বিচার দাবি জানান তারা।
মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল আব্দুল আজিজ জানান, মাদ্রাসা ভবন মালিক আব্দুস সালাম মাদ্রাসাটি ধংস ও ২ লাখ টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করছে। এ ঘটনায় এলাকার মাদবরদের কাছে বিচার চাওয়া হয়েছে। কোন সমাধান হয়নি। থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এ ব্যাপারে ভবন মালিক আব্দুস সালাম জানান, মাদ্রাসাটির প্রিন্সিপাল আব্দুল আজিজের কাছ থেকে পাওনা বাবদ ২ লাখ টাকা নেয়া হয়েছে। এটা মাদ্রাসার এ্যাডভান্স হিসেবে নেয়া হয়নি।
এসএস